কক্সবাজার আজ বিশ্বমানচিত্রে এক নতুন পরিচিতি পেয়েছে, শুধুমাত্র তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, বরং মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রমাণ করেছে, দয়া ও সহযোগিতার মাধ্যমে কেবল মানবিক সংকট মোকাবিলা করা যায় না, বরং এটি হতে পারে উন্নয়নের নতুন দুয়ার।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের দায়িত্বশীল ভ‚মিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তিকে আরো সুসংহত করেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প আজ গৌরবের সাথে ব্যবসা করছে, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দক্ষতার সাথে কাজ করছেÑএ সবই বাংলাদেশের উদার মানবিক দায়িত্ব পালনের প্রতিফলন। জাতিসংঘের মহাসচিবের কক্সবাজার সফরও এই স্বীকৃতির একটি বড় উদাহরণ।
বিশ্বের অনেক দেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ তৈরি করেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। রোহিঙ্গা রেসপন্সের ফলে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় ১৩,০০০-এর বেশি তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। এই আয়ের একটি অংশ সঞ্চয় করে উচ্চশিক্ষা অর্জন করা বা ছোট ব্যবসাÑযেমন মুরগির খামার বা অন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব। এটি শুধু ব্যক্তিগত উন্নতি নয়, বরং পরিবারের ও সমাজের পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে।
গতকাল কোস্ট ফাউন্ডেশন-এর উখিয়া সেন্টার কর্তৃক আয়োজিত কর্মী সমন্বয় সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করীম চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তুলে ধরেন কিভাবে রোহিঙ্গা সঙ্কটের কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানীয় তরুণদের জীবিকা নিশ্চিত হচ্ছে এবং তারা ভবিষ্যতে আরও আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারবে। এই আয়োজনে রোহিঙ্গা রেসপন্সে কর্মরত ২৫০ জনের বেশি মাঠকর্মী উপস্থিত ছিলেন, যারা সামনের দিনগুলোতে আরো দক্ষতার সাথে কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।