1. admin@upokulbarta24.com : admin : Sohel Mahamud
  2. bangladesh@upokulbarta.news : যুগ্ম সম্পাদক : যুগ্ম সম্পাদক
  3. bholasadar@upokulbarta.news : বার্তা সম্পাদক : বার্তা সম্পাদক
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জান্নাতুল বাকিতে ডা. রাশেদার দাফন সম্পন্ন রামপালে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টাঃকতিপয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন জনগণকে সেবা দিতে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বন্দর থানা যুবদলের পথ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল মানবিক সহায়তায় মানব কল্যাণ পরিষদের কম্বল বিতরণ সাতক্ষীরা দেবহাটায় বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল ও সমাবেশ সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগের ঝটিকা মিছিল ও লিফলেট বিতরণ ভোলার মেঘনায় জলদস্যুর গুলিতে ১ জেলে নিহত, আহত-৩ বাউফলে কবরস্থানে এক নারীর লাশ দাফনে বাধা কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেত্রী শারমিনের অসুস্থ মায়ের খোঁজ নিলেন কৃষিবিদ শামীম

মোরেলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মানুষের সুপেয় পানি প্রাপ্তির বর্তমান অবস্থা

ডেক্স রিপোর্ট:
  • আপডেট সময় : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ২২ বার পঠিত

মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সুপেয় পানি প্রাপ্তির ওয়ার্ড ভিত্তিক অবস্থা

নিম্নরূপঃ

১ নং ওয়ার্ড পরিবার সংখ্যা ৩৮৮টি জনসংখ্যা ১৮৬৩ জন নিরাপদ পানির কোন উৎস নাই। ৮টি ব্যবহার যোগ্য ব্যাক্তি মালিকানাধীন পুকুর আছে।

২নং ওয়ার্ড পরিবার সংখ্যা ৩২৪টি জনসংখ্যা ১৫৫৩ জন নিরাপদ পানির উৎস আছে ২টি ম্যানুয়াল পিএসএফ তাও আবার প্রায়ই বন্ধ থাকে। ৭টি ব্যবহার যোগ্য ব্যাক্তি মালিকানাধীন পুকুর আছে। ২টি সরকারি খাস পুকুর আছে।

৩নং ওয়ার্ড পরিবার সংখ্যা ৫৬০টি জনসংখ্যা ২৬৮৮ জন নিরাপদ পানির উৎস আছে ১টি। ৮টি ব্যবহার যোগ্য ব্যাক্তি মালিকানাধীন পুকুর আছে। ১টি সরকারি খাস পুকুর আছে।

৪ নং ওয়ার্ড পরিবার সংখ্যা ৪৭৪টি জনসংখ্যা ২২৭৫ জন ১টি নিরাপদ পানির উৎস আছে নষ্ট । ১০টি ব্যবহার যোগ্য ব্যাক্তি মালিকানাধীন পুকুর আছে।

৫নং ওয়ার্ড পরিবার সংখ্যা ৬২৩টি জনসংখ্যা ২৯৯১ জন নিরাপদ পানির উৎস আছে ২টি পিএসএফ। ১১টি ব্যবহার যোগ্য ব্যাক্তি মালিকানাধীন পুকুর আছে।

৬নং ওয়ার্ড পরিবার সংখ্যা ৪৩৬টি জনসংখ্যা ২০২৯ জন নিরাপদ পানির আছে ২টি। ১৩টি ব্যবহার যোগ্য ব্যাক্তি মালিকানাধীন পুকুর আছে।

৭নং ওয়ার্ড পরিবার সংখ্যা ৪২৩টি জনসংখ্যা ২০২৯ জন নিরাপদ পানির আছে ২টি। ১৪টি ব্যবহার যোগ্য ব্যাক্তি মালিকানাধীন পুকুর আছে।

৮নং ওয়ার্ড পরিবার সংখ্যা ৩৩৮টি জনসংখ্যা ১৬২২ জন নিরাপদ পানির উৎস আছে ৩টি। নষ্ট ১টি। ৯টি ব্যবহার যোগ্য ব্যাক্তি মালিকানাধীন পুকুর আছে।

৯নং ওয়ার্ড পরিবার সংখ্যা ৩৩১টি জনসংখ্যা ১৫৯০ জন নিরাপদ পানির উৎস আছে ৩টি নরমাল পিএসএফ । ৩টিই নষ্ট। ৯টি ব্যবহার যোগ্য ব্যাক্তি মালিকানাধীন পুকুর আছে। মোট পরিবার সংখ্যা ৪০৭১ টি এবং মোট জনসংখ্যা ১৬৬১১ জন।

মোট ব্যাক্তিমালিকানাধীন পুকুর মোটা মুটি ব্যবহার যোগ্য আছে ৮৯টি এবং সরকারি খাস পুকুর আছে ৪টি। মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ১৬ হাজারের অধিক মানুষ যুগের পর যুগ এইভাবে খাবার, রান্না, কাপড়, থালাবাসন ধোয়া,গোসলসহ গৃহস্থালির নানা কাজে ব্যবহার করে আসছে এই পুকুরের পানি। ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ১২টি ও ডরপসহ ১টি /২টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ৭টি ছাড়া অন্যগুলির অধিকাংশই অকেজো অবস্থায় পরে আছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডরপ, ওয়াল্ডভিশনসহ আরো কিছু এনজিও ১ হাজার থেকে ৩ হাজার লিটর পানির ট্যাংকি কিছু পরিবারের মধ্যে বিতরণ করলেও যাহা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া এই ট্যাংকিগুলি বর্ষার সময় ব্যবহার করতে পারে। শুকনো মৌসুমে তাদের পানির সমস্যা থেকেই যায়।

প্রকৃতির ট্যাংকি হিসাবে পরিচিত এই পুকুরগুলির পার উঁচু করে দিলে মানুষ সারা বছর এই পুকুরগুলির পানি সকল কাজে ব্যবহার করতে পারতো। মোরেলগঞ্জ উপজেলায় বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে ব্যাক্তিমালিকানাধীন পুকুরে জোয়ার / জলোচ্ছ্বাসের লবন পানি পুকুরে প্রবেশ করে। আর এই লবনাক্ত পানিই খাওয়া সহ গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করতে হয় এই জনপদের মানুষকে। পুকুরগুলি পূর্ণ খনন করে পাড় উচু করার মত আর্থিক সামর্থ্য ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষের নাই।

ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, দাতা সংস্থা, বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমাজের বিত্তশালীগন এগিয়ে আসলে পানির সংকট নিরসন সহজে করা যায়। বিশেষ করে সরকার পানির সমস্যা সমাধানে গুরুত্বের সাথে মনযোগ দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। আমাদের সকালের জানা থাকার কথা মোরেলগঞ্জ উপজেলা সরাসরি জলবায়ু প্রবন এলাকা।
মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, গ্রাম পুলিশ, শিক্ষক, স্বাস্থ্যগ্রাম দল সদস্য, মা সংসদ সদস্য, বাজেট ক্লাব সদস্য, যুব ফোরাম সদস্য, ব্যবসায়ী, পল্লী চিকিৎসক, জেলে, কৃষক, গৃহিণী , সমাজ সেবক, দিন মজুর, পানির সমস্যায় ভুক্তভোগী পরিবার সহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার ১২৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে ফোকাস গ্রুপ আলোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছে মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৪০৭১টি পরিবারের মধ্যে ১৭০৫ টি পরিবার নিরাপদ খাবার পানির সুবিধা পাচ্ছে। ২৪৬৬টি পরিবার খাবার পানির সুবিধা পাচ্ছে না। ১৭০৫ টি পরিবারের মধ্যে ৪ শত থেকে ৫ শত পরিবার যাদের ১০০০ লিটার থেকে ৩০০০ লিটার পানির ট্যাংকি আছে তাদেরকেও ধরা হয়েছে। যে সকল পরিবারের ট্যাংকি আছে তাদের সারা বছর পানির সুবিধা থাকে না। শুধু বর্ষা মৌসুমে তারা পানি পায়। বর্ষা মৌসুম শেষের কিছু দিন অতিবায়িত হাওয়ার পরে তাদের আর খাবার পানির সুবিধা থাকে না।

আলোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছে মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের অতিদরিদ্র, দরিদ্র, ধনী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের তথ্যঃ অতিদরিদ্র ১২০৭ পরিবার, দরিদ্র ১৪১৫ পরিবার, ধনী ও মধ্যবিত্ত ১৪৫২ পরিবার। উঠে এসেছে পেশা ভিত্তিক পরিবার তথ্যঃ মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে কৃষি করে ১৪৫৫ পরিবার, জেলে ৫২০ পরিবার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৫২০ পরিবার, অটো/ ভ্যান চালক ৪০০ পরিবার, দিন মজুরীর কাজ করে ৯৩০ পরিবার ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে ১৭৬ পরিবার।
এখানে শুধু ১টি ইউনিয়নের উল্লেখ করা হলেও মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়নের প্রায় একই রকম অবস্থা। পানির সংকট প্রায় একই। তবে পানগুচি নদীর পশ্চিম তীরের ৬টি ইউনিয়নের মানুষের পানির সংকট বেশি তীব্র। তার মধ্যে আবার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের পানির সংকট বেশি তীব্র। কারণ সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে সরকারি বা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগিলি যেতে পারে না। ডরপ পানির সংকট নিরসন কিছু কাজ শুরু করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা