আঃ রহমানঃ
ড্রিপ ইরিগেশনের মাধ্যমে আগাছা জন্মায় অনেক কম। কারণ পানি ফোটায় ফোটায় শুধু গাছের গোড়ায় পড়ে, বিধায় অন্য জায়গাগুলোর মাটিতে সার ও জ্বো না থাকায় আগাছা জন্মাতে পারে না । এই জন্য আগাছা দমনে কিটনাশক কম ও শ্রমিকের প্রয়োজন খুব কম হয় । তবে চাষের জমি মালচিং করে নিলে আগাছা দমনে কোন ধরনের কিটনাশক বা শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না।
ড্রিপ ইরিগেশনে ৫০% সার কম লাগে, কারন ড্রিপ ইরিগেশনে প্রয়োজনীয় সার রিজার্ভ ট্যাংকিতে দিলে প্রতিটি গাছের গোড়ায় চলে যায় , যার কারনে সার অপচয় হয় না। তবে আবশ্যই সারগুলো পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
ড্রিপ ইরিগেশনে ২৫–৩০% চাষকৃত ফসলের উৎপাদন বেশী হয় ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ড্রিপ ইরিগেশনে প্রয়োজনীয়তা ও বর্তমান বাস্তবতাঃ
বাংলাদেশে ৯৬% মিঠা পানি ব্যবহার হয় কৃষি কাজে সনাতনী সেচ বাবস্থার কারণে এর মধ্যে ৯২% পানি ব্যবহার হয় ভূগর্ভের ।অপরিকল্পিত ভাবে গাছপালা ও বনায়ন ধ্বংসের কারণে এবং নদ–নদি , খাল–বিল ভরাট করার কারণে আগের মতো বৃষ্টি না হয়াতে কৃষি কাজে প্রায় ১০০% ভাগই ব্যবহার হচ্ছে ভূগর্ভের পানি।এর ফলে আমাদের জল সম্পদ খুব দ্রুত কমতে শুরু করেছে
বর্তমানে ঢাকায় ভূগর্ভে প্রতিবছর ২–৩ মিটার পানি শুন্য হয়ে যাচ্ছে । এ জন্য ঢাকা প্রতি বছর আধা ইঞ্চি করে দেবে যাচ্ছে । বাংলাদেশের কিছু বরেণ্য অঞ্চলে পানির এতটাই অভাব যে সেখানে কৃষি কাজের জন্য পানি কিনে ব্যবহার করতে হয়। আমরা এখনি যদি পানির অপচয় রোধ করতে নাপারি একইসাথে পানির সঠিক ব্যবহার না করি এবং ভূগর্ভের পানি শুন্য স্থানে পুনরায় পানি পুরন না করি তাহলে ঢাকা ভূমিধ্বসে পতিত হবে খুবই শিগ্র । অন্যান্য দেশ গুলতে তাদের ভূগর্ভেরে পানি শুন্যতা পুরনে বেশ কিছু প্রশংশিও পদক্ষেপ গ্রহন করে , যেমন নেপাল । সুতরাং এখন থেকেই আমাদের পরিবেসের কথা চিন্তা করে পানির সঠিক ব্যবহার করা উচিৎ ।
ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতিতে বর্তমানে বাংলাদেশে জমিতে বা ছাদবাগানে পানি সেচ দেয়া শুরু হয়েছে। যা পরিবেশগত দিক থেকে ও কৃষক তথা সব কিছুর জন্যই যুগগোপোজি মানানসই লাভজনক। বিজ্ঞান ড্রিপ ইরিগেশনের আমাদের কম সময়ে অল্প শ্রমে অর্থ বাঁচিয়ে ফলন বৃদ্ধির দ্বারা আমাদের কৃষিকে অনেক সমৃদ্ধশালী করেছে