শিপুফরাজী, চরফ্যাশন\
চরফ্যাশনসহ উপকূলীয় জেলা ভোলার ৭ উপজেলায় বেশ কয়েকদিন ধরে জেঁকে বসেছে শীত। সেই শীতের হাত থেকে চরফ্যাশনের নিন্ম আয়ের মানুষদের কিছুটা রক্ষা করতে রাতের আঁধারে বেড়ি বাঁধ ঘুরে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেছেন চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি।বৃহস্পতি রাতে চরফ্যাশনের হাজারি গন্জ ইউনিয়নের মেঘনানদীর পাড়ের মানুদ্দিন বেড়ি বাঁধ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ১শতাধিক পরিবারের মাঝে নিজে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল তুলে দেন। শীতে কষ্ট পাওয়া মানুষগুলোর গায়ে নিজ হাতেই জড়িয়ে দেন কম্বল। ইউএনও’র কাছ থেকে কম্বল পেয়ে অনেকটাই খুশি শীতার্তরা।এসময় তিনি বেড়ি বাঁধের থাকা নিন্ম আয়ের মানুষের খোঁজ খবর নেন। রাতের আঁধারে ঘরের দুয়ারে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথিকে কম্বল নিয়ে হাজির হতে দেখে আবেগে আপ্লুত হন বেড়ি বাঁধের এলাকার অসহায় শীতার্ত মানুষেরা।
শীতার্ত মানুষরা বলেন, যাদের কম্বল কেনার সামর্থ ছিল না একমাত্র তারাই এ কম্বল পেয়েছেন। শীত নিবারন জন্য এ কম্বল তাদের উপকারে আসবে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন,গত কয়েকদিন ধরে খুব কনকনে শীত পড়েছে। এই উপজেলার ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি বেড়ি বাঁধের এলাকায় জেলে সহ নিন্ম আয়ের মানুষ বসবাস করে। শীত বেড়ে যাওয়ায় এসব মানুষ শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। তাই তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে এই শীত বস্ত্র নিয়ে নিজে ছুটে এসেছি।শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে। এ উপজেলায় শীতার্ত মানুষের জন্য সরকার থেকে মোট ২ হাজার পিস কম্বল বরাদ্দ এসছে যা এই উপজেলার চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সেগুলোই আমরা বিতরণ করছি ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মাঝে।
উল্লেখ্য, উপক‚লীয় জেলা ভোলায় দিনের তাপমাত্রা ১৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আন্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আগামী সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।