একটি লাইব্রেরি আলোকিত করে তুলছে ভোলার প্রত্যন্ত এলাকার একটি গ্রামকে।
এটি প্রতিষ্ঠার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা মোবাইলে আসক্ত না হয়ে সরাসরি ঝুঁকে পড়ছেন বই পড়ার নেশায়।
একাডেমিক বই পড়াশুনার ফাঁকে শিল্প সাহিত্যের বই পড়ে তারা জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি জানতে পারছেন ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মধ্য বয়সীরাও হয়ে উঠেছেন নিয়মিত পাঠক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখেছেন এই প্রতিবেদক ভোলা সদরের মেঘনার কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত গ্রাম শাপলা বাজারের কথা।
শিক্ষার হারে পিছিয়ে থাকলেও গত কয়েক বছরে গ্রামটি বেশ উন্নত হয়েছে। সেই সাথে বেড়েছে বইপ্রেমী পাঠকের সংখ্যা। এ গ্রামের লেখক-কবি মোঃ মহিউদ্দিন নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন ‘হারুন অর রশিদ স্মৃতি’ পাঠাগার। পাঠাগারটি তার বড় ভাই মরহুম মোঃ হারুন অর রশিদের নামে ।
হারুন অর রশিদ একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তিনি ১৯৯০ সালের ২৭ মার্চ ঢাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন।
তার স্মৃতি ধরে রাখতে এবং এলাকার মান উন্নয়ন করতে এই লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা কবি মোঃ মহিউদ্দিন ব্যাপক উদ্যোগ নেন।এলাকার যুবকদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রামের শিক্ষার্থীরা বই পড়তে চলে আসেন পাঠাগারে। মোবাইলে আসক্ত হয়ে অলস সময় না কাটিয়ে তারা এখন বই পড়ার আনন্দে উচ্ছ্বাসিত।
প্রতিদিন বিকাল হলেই বই পড়া, আড্ডায় আর জ্ঞান অর্জনে মূল্যবান সময় ব্যয় করেন পাঠকরা।
২০২৩ সালে ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের শাপলা বাজারে পাঠাগারটি স্থাপিত হয়, যেখানে বর্তমানে দেশের খ্যাতিমান লেখকদের দু’হাজারের বেশি বই রয়েছে। পাঠাগারটি ইতিমধ্যে সরকারি গণ গ্রন্থাগারের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটি আরও উন্নত হবে এমন প্রত্যাশা গ্রামবাসীর।