শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে পর যশোরেশ্বরী কালী মন্দির পরিদর্শনে যান উপদেষ্টা আসিফ।
এসময় দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে কথা বলে মন্দির ত্যাগ করার পর মন্দির কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
হাতাহাতির বিষয়ে মহারাজা প্রতাপাদিত্য স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি জয়দেব বিশ্বাস বলেন, নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতার কারণে মুকুট চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতো গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারেনি বলে মন্তব্য করায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় ও তার লোকজন আমাদের উপর চড়াও হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষে জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
তবে ভিডিও ফুটেছে দেখা গেছে বিশৃঙ্খলা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বহিরাগতরা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।
এ ঘটনায় শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুল ইসলাম বলেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা মহোদয় মন্দির পরিদর্শন করে বেরিয়ে যাওয়ার পর মন্দির কর্তৃপক্ষ ও সনাতন ধর্মের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া চুরির সাথে জড়িতকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সনাক্ত করে স্বর্ণের মুকুট উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, মন্দিরে চুরির ঘটনা দুঃখজনক। আমরা খবর শোনা মাত্রই ঢাকা থেকে প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি চুরি হওয়া মুকুট যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব দাশ, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহমানসহ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, মন্দির পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম হয়ে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ভ্রমণে যান।