সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে কমলা খাতুন (৫৫) নামের এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
কমলা খাতুন দরগাহপুর গ্রামের মোবারক গাজীর স্ত্রী।
নিহতের স্বামী মোবারক আলী জানান, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি কমলা খাতুনকে বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষে খানজাহান আলী নামে তার এক ছেলে আছে। দ্বিতীয় পক্ষে অলিউর ও ফয়জুল নামে দুই ছেলে আছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে কমলা খাতুনের সঙ্গে তিনি এক ঘরে থাকেন না। শুক্রবার ভোরে তিনি নামাজ পড়তে উঠেন। এসময় তিনি কমলার ঘরের দরজা খোলা দেখেন। তাকে না পেয়ে তিনি খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে অল্পদূরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বিচালীগাদার পাশে কমলার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পাশে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দাঁ ও কমলার ব্যবহৃত একজোড়া চপ্পল দেখতে পান।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে, কমলা খাতুনকে হত্যা করা হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে কমলা খাতুনের স্বামীসহ তিন ছেলে ও তিন বউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কমলা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।