বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেখ মেহেদী হাসান (১২) হাসান নামে এক স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবী সে আত্মহত্যা করেছে। সকালে পরিবারের লোকজন আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
নিহত শেখ মেহেদী হাসান উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের শেখ সাইদুল ইসলামের ছেলে। সে পিলজংগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক অনুপ কুমার রায় নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, শেখ মেহেদী হাসানের বাবা-মা ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করায় সুবাদে সে তার চাচা হোগলডাঙ্গা গ্রামের শেখ জাহিদুল ইসলামের কাছে থাকতেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে শেখ মেহেদী হাসান কবুতরের খাবার দিয়ে ঘরে আসার সময় বসত ঘরের কাঠের সিঁড়িতে উঠতে গিয়ে হোচোট খেয়ে নিচে পড়ে। এতে সে সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হয়।
এসময় তার চাচা শেখ জাহিদুল ইসলাম তাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বকাবকি করে। যদি স্কুলে না যায় তাহলে বই বিক্রি করে দেবে বলে জানায়। এ কথা শুলে মেহেদী হাসান তার রুমে চলে যায়।
পরবর্তীতে এদিন সকাল ৮টার দিকে তাকে ডাকতে গেলে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢোকেন। এসময় মেহেদী হাসানকে ঘরের আড়ার সাথে গামছা দিয়ে গলয় ফাঁসসহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে মরদেহ উদ্ধার করেন।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে ফাঠানো হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ যানা যাবে।